মীর আসলাম (রাউজান নিউজ) :
রাউজান পৌরসভার এলাকার ছিটিয়াপাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র জামাল উদ্দিনের (৪২)। তিনি মুন্সির ঘাটার সূর্য সেন চত্তরে থাকা একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সিলিণ্ডার ভর্তি গ্র্যাস সরবরাহ দিয়ে গত শুক্রবার(২২ জানুয়ারি) দোকান থেকে রাত ১০টায় পার্শ্ববতী গ্রামে(ছিটিয়াপাড়া) নিজ ঘরে ফেরার কথা ছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত বাড়ি না যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবার সারা রাত তাকে খুঁজেছে এখানে সেখানে। বার বার ফোন করেও তার খোঁজ পাচ্ছিল না। পরদিন ২৩ জানুয়ারি শনিবার নিখোঁজ জামাল উদ্দিনের লাশ মিলে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে পালিত পাড়ার এক নির্ঝন পুকুরে। গতকাল শনিবার সকালে সংবাদ পেয়ে সেই পুকুর থেকে বেলা সাড়ে ১১ টার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। নিহত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগম থানার সামনে বসে আহজারী করতে করতে বলছিলেন তার স্বামী গ্যাসের দোকানে চাকুরী করতেন। কিনে নেয়া ভিটার জায়গা নিয়ে তার স্বামীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল তার ভাসুর আবদুল আজিজ ও জামাল উদ্দিনের ভাগ্নে বখতেয়ারের সাথে। তার দাবি তারাই তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় লাশটি পড়ে ছিল পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের পালিত পাড়ার কালুপদ ডাক্তারের বাড়ির পেছনের সনজিব পালিতের মুরগির পরিত্যাক্ত খামারের সাথে থাকা নির্জন পুকুরে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় জামাল উদ্দিন নেশা পান করতো। অনেকেই ধারণা পালিত পাড়ার নির্ঝন এলাকায় কারো সাথে নেশাপান করতে গেলে হয়ত কেউ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন জামাল উদ্দিনের মৃত দেহের শরীর পানিতে থাকলেও হাত দুটি ছিল পাড়ের মাটির সাথে।
নিহতের আত্মীয় স্বজনের দাবি জামাল আগে নেশা করলেও এখন করেন না। ২ ছেলে ১ মেয়ে সন্তানের জনক নিহত জামাল উদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইসমাইল বলেন এই ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট ফেলে কারণ জানা যাবে। তিনি নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে জানান।
Add comment