আমির হামজা.রাউজান নিউজ: রাউজানের মাঠে মাঠে এখন ধান কাটার উৎসব চলছে। সোনালী ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে মূখরিত হয়ে পড়েছে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদ। এবার ২৬ টাকা কেজিতে ১৭০ টন ধান বিক্রির
সুযোগ পাচ্ছে উপজেলার ১০৪৬ কৃষক।
সরকার এবার রাউজান উপজেলার প্রান্তিক চাষিদের থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন আমন ধান কিনে নেবে। এসব ধান কিনা হবে উপজেলার তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪৬ জন কৃষকের কাছ থেকে। উপজেলার মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা যায় রাউজান উপজেলার সর্বত্র আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার উত্তরাংশের কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে ধান মাড়াই কাজে। দক্ষিণাংশের ইউনিয়ন সমূহের কৃষকরা তুলনামূলক ভাবে বিলম্বে চাষাবাদ করার কারণে এ অঞ্চলে মাঠের ধান কাটা শুরু করতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবার তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ায় মাঠে ফলন ভাল হয়েছে।
এছাড়া রোগবলাই তেমন ছিল না। অনেকেই বলেছেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে অনেক কিছু করেছেন। প্রতি মাসে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে কৃষকদের সুবিধা অসুবিধা কথা জেনে করণীয় সম্পর্কে নিদ্দেশনা দিয়েছে। একারণে কৃষকরা মাঠে নামতে উৎসাহ বোধ করেছেন। তবে তারা বলেন কামলার মুজুরী অত্যাধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে টাকার যোগান দিতে প্রতিজন কৃষককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে এবার সরকার সরাসরি ধান কিনবে।
রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেছেন এবার এই উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১১ হাজার ২৭৬ হেক্টর। কৃষকরা স্বঃস্ফুত ভাবে চাষাবাদে নামায় লক্ষ্যমাত্রার চাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপশী জাতের ১১ হাজার ২১০, হাইব্রিড ৮০ হেক্টর, ও স্থানীয় জাতের ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়। এই কৃষি কর্মকর্তা জানায়, এই পর্যন্ত ২ হাজার ২৯৬ হেক্টর জমি থেকে পাকা আমন ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলেছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেছেন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আমন চাষীদের তালিকা করা হয়েছে।
এই তালিকা অনুসরণ করে প্রশাসন ২৬ টাকা কেজি দামে ধান কিনবে। তিনি জানান ধান কিনার সময় চিটার মাত্রা ও আধ্রতা পরীক্ষা করা হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ধানের উপযোগীতা পরীক্ষা করে দেখবেন। ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করবে। জোনায়েদ কবির সোহাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন সরকারের দেয়া এই সুযোগের ফলে কৃষকরা চাষাবাদে আগ্রহী হবে।
**আপনার যেকোনো সংবাদ ও বিজ্ঞাপন রাউজান নিউজে প্রচার করতে আমাদের বার্তা সম্পাদক-আমির হামজা সাথে য়োগাযোগ করতে পারেন-০১৫৫৯-৬৩৩০৮০*বার্তা সম্পাদক আমির হামজা***
Add comment