এম বেলাল উদ্দিন (রাউজান নিউজ) ♦
রাউজানে কলেজ প্রভাষকের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে গেল প্রতারক চক্র ! ডাচবাংলা ব্যাংকের উদাসীনতায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার এক পরীক্ষককের সম্মানীর ৭২২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। পরীক্ষকের সম্মানীর টাকা ডাচবাংলার মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এক শ্রেণির বড়চক্র সম্মানীর টাকা বিতরণের জন্য ডাচবাংলা ব্যাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করেছেন বলে সূত্র জানান।
মোঃ ফারুক নামের প্রভাষক পরীক্ষক অভিযোগ করে বলেন টাকা তোলার জন্য পরীক্ষকদের রকেট এজেন্টের কাছে যেতে হয়। ডাচবাংলার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও এজেন্টরা পিন নম্বর কৌশলে জেনে নেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এভাবে শত শত পরীক্ষকের অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে নিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা।গত ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাউজান হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক কলেজের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফারুকের ব্যাক্তিগত ফোন নাম্বারে কল করে অসাধু প্রতারক চক্রের একজন সালাম দিয়ে বলেন আপনার একাউন্ট নাম্বারে ত্রুটি হয়েছে, এটি যেকোন মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যাবে,আমাদের উল্লেখ করা তথ্য গুলো দিলে একাউন্ট বন্ধ হবেনা।
মোঃ ফারুক সরল বিশ্বাসে একাউন্টের গোপনীয় তথ্যাদি চক্রটিকে প্রদান করে দেন।এরপর সকালে মোবাইল ম্যাসেজে জানতে পারেন তার একাউন্টে জমাকৃত ৭৪২ টাকা থেকে ৭২০ টাকা আর নেই।আছে মাত্র ২২ টাকা।বাকী ৭২০ টাকা রাতেই হাওয়া হয়ে গেছে।তিনি স্থানিয় রাউজান ফকিরহাট ডাসবাংলা ব্যাংকের ম্যানাজারকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
স্থানিয় সাংবাদিকদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে প্রভাষক মোঃ ফারুক বলেন ৭২০টাকা বড় কথা নয়, কিন্তু গ্রাহকের গচ্ছিত টাকার পিছনে যে চক্রটি জড়ীত সেটিকে ধমন করার জন্য আমার দাবী প্রশাসনের নিকট।আমি কষ্ট করে পরিক্ষার্থীদের খাতা দেখলাম,আর সম্মানিটা নিয়ে গেল চক্রটি।সকলের দাবী চক্রটির বিরুদ্বে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
এমতবস্থায় অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পিন নম্বর কাউকে প্রদান না করতে শিক্ষকদের জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল কল বা এসএমএসের মাধ্যমে কিংবা ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পিন নম্বর প্রদান না করতে বলা হয়েছে।
Add comment