প্রদীপ শীল, রাউজানঃ দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর রাউজানে অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ। কয়েকটি খোলা থাকলেও সেখানে ডাক্তার আসে না। রোগীর প্যাথলজিক পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক সময়ে দিতে পারে না ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। এই অবস্থায় প্রতিদিন রোগীদের পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়ে রাউজান সদর জলিল নগর বাস ষ্টেশন এলাকায় অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। পরিদর্শনের শুরুতে তিনি ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখেন রোগ নিরাময় কেন্দ্রটি তালাবন্ধ। এরপর মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ কেয়ারে গিয়েও তালাবন্ধ অবস্থায় দেখে তিনি যান রাউজান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেইটি খোলা থাকলেও নেই কোন ডাক্তার। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একজন রোগী। রোগী জানান, গত এক সাপ্তাহ ধরে ঘুরছেন পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য। তারা বার বার সময় নিয়েও ঠিক সময়ে রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্যানেল মেয়র ধর্য্যসহকারে অভিযোগ শুনেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। প্যানেল মেয়র পরে সুপার ল্যাব নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মনিটরিং করেন। এখানে কয়েকজন ডাক্তার নিয়মিত আসলেও বেশিভাগ ডাক্তার চেম্বার করেন না বলে জানা গেছে। সুপার ল্যাবের মালিক অাবু জাফর জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সার্বক্ষণিক খোলা রেখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে জমির উদ্দিন পারভেজ জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো পরিদর্শন করে আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা তাদের বলেছি এখন করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তারদের সেবা দিতে হবে। এছাড়া রাউজানের অভিবাবক এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্তমান পরিস্থিতি অবহিত করা হবে। সাংসদের নির্দেশে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা দিপলু দে দিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সেন্টাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফসহ আরো অনেকেই।
বার্তা কক্ষ.আমির হামজা
Add comment