অামির হামজা (রাউজান নিউজ)♦ রাউজানের পাহাড়তলীতে দেখা যাচ্ছে মুখপোড়া হনুমানের বিছরণ। রাউজানের পাহাড়তলীর পাহাড় সংলগ্ন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), উনসত্তরপাড়া গ্রাম ও জগৎপুর আশ্রম এলাকায় কালো মুখা(মুখ পোড়া) হনুমানের বিচরণ বেড়েছে। বিশেষ করে সকালে ও বিকালে ওসব হনুমান দল বেঁধে ছুটাছুটি করে এগাছ থেকে ও গাছে। ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে বিচরণে থাকা হনুমান দলে ছোটদের সাথে বাচ্চা হনুমানও চোখে পড়ে।
প্রাণি বিশেষজ্ঞদের মতে এই জাতের হনুমান বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতির হনুমানের একটি। সাধারণত এদের দেহ ৬৮-৭০ সেন্টিমিটার, লেজ ৯৪-১০৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে পুরুষের চাইতে স্ত্রীর দেহের সাইজ ছোট। ওজনের হিসাবে পুরুষ ১১ দশমিক ৫ থেকে ১৪ এবং স্ত্রী ৯ দশমিক ৫ থেকে ১১ দশমিক ৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। দেখতে দেহের চামড়া কালচে। পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ ধূসর-বাদামি। এবং বুক-পেট ও দেহের নিচ লালচে-বাদামি বা সোনালি হয়ে থাকে। মুখমণ্ডল অনেকটা লোমবিহীন। কান, হাত ও পায়ের পাতা কুচকুচে কালো। মাথার চূড়া ও লেজের আগাও কালো। বৃক্ষচারী এসব প্রাণি চলাফেরা, খাবার সংগ্রহ, ঘুম, খেলাধুলা, বিশ্রাম, প্রজনন সবকিছু গাছেই সম্পন্ন করে। সবল পুরুষের নেতৃত্বে তারা দলবদ্ধ থাকে। এরা সাধারণত শান্তিপ্রিয় প্রাণি। খাদ্য হিসাবে তাদের প্রিয় গাছের কচি পাতা, বোঁটা, কুঁড়ি। খেয়ে থাকে পাহাড়ী ফুল মুলও।
পাহাড়তলীর যেসব এলাকার মানুষ হনুমানের বিছরণ দেখেছেন তারা বলেছেন গাছে গাছে এসব প্রাণির বিছরণ দেখা গেলেও তারা মানুষের ঘড়বাড়ি,ফসলি জমিতে এসে উৎপাত করে না। বেশি মানুষ দেখলে ভয়ে বনের ভিতরের দিকে চলে যায়। এলাকার লোকজনের মতে আগে এখানে হনুমান দেখা গেলেও তাছিল কদাচিৎ। এবার তুলনামূলক ভাবে তাদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে এই এলাকার সাথে যুক্ত রয়েছে রাঙ্গুনিয়ার বিশাল পাহাড়ী এলাকা।
রাউজান নিউজ/অামির হামজা, বার্তা বিভাগ
Add comment