মুহাম্মদ টিপু সুলতান(রাউজাননিউজ).
মোত্তাকিন আলম চৌধুরী। ১১ মাস বয়স তার। এই বয়সেই হারিয়ে ফেললো মা’কে। শিশুটি কিছু না বুঝলেও হঠাৎ হঠাৎ আম্মু বলে এদিক ও দিক থাকিয়ে মা কে খোঁজার চেষ্ঠা করছে। আম্মু নামটা পুরোপুরি শেখার আগেই হারিয়েছে মা’কে। গত ৮ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা খুনিরা তার মা নাছরিন আকতার সুবর্ণাকে হত্যা করে গলায় ইট বেঁধে দিয়ে গহিরা দলইনগরে পদ্মপুকুরে ফেলে দিলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আছে জেল হাজতে। উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার করা নারী রাউজান পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের শায়ের মো. চৌধুরী বাড়ির মৃত মোজারুল হকের ছেলে মো. মনছুর আলমের স্ত্রী। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার জাহানপুর এলাকার দলিলুর রহমানের মেয়ে।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টায় নিহত নাছরিন আকতার সুবর্ণা (২৫) এর ছোট বোন নাছিমা আকতার বাদী হয়ে নিহতের স্বামী মনছুর আলমের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন (মামলা নং-০৫)। নিহতের বোন নাছিমা আকতার পুলিশকে জানান তার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনকে খুনির বাড়ীতে দাফন না করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছি। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও সে তার স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ৫ ডিসেম্বর নাছরিন আকতার সুবর্ণা তার শ্বাশুড় বাড়ীতে এসে ছেলেকে রেখে চলে যায়। ৮ ডিসেম্বর তার লাশ উদ্ধার হয় পুকুর থেকে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) খুনের মামলার আসামি মনছুর আলম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন পুলিশ।
Add comment