রাউজাননিউজ ডেক্স ঃ
রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন অবস্থান থেকে কেটে ফেলা ছোট বড় শতাধিক গাছ বন বিভাগ নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। গত প্রায় সপ্তাহখানেক আগে এসব গাছ কেটে টুকরো করে বিভিন্নস্থানে চালানের প্রস্তুতি নিয়েছিল স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী রাজু চৌধুরী। তিনি গাছ গুলো কেটে কুণ্ডেশ্বরী সড়কের দুই পাশে প্রায় তিন শত গজ এলাকা জুড়ে স্তুপ করে রেখেছিলেন। স্থানীয় অনেকেই ছোট বড় গাছ কেটে ফেলার এই দৃশ্য দেখে বিষয়টি অবহিত করেন উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগকে। প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এই অভিযোগ পেয়ে ২৭ ফেব্র“য়ারি বুধবার বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা আবদুর রশীদ সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন।
শত শত কাটা গাছ দেখে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তিনি ব্যবসায়ী রাজু চৌধুরীকে এসময় বলেন ২৮ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা হবে। উপস্থিত থাকবেন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। ওই সভায় এব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত গাছ গুলো স্থানান্তর করা যাবে না। জানা যায় বন বিভাগের এই কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর তড়িগড়ি করে অনেক গাছ ওই ব্যবসায়ী সরিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সুকুমার বড়–য়া এপ্রসঙ্গে বলেছেন গাছ কাটার বিরুদ্ধে এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর কঠোর হুসিয়ারী ও প্রশাসনের বিধি নিষেধ সম্পর্কে তিনি এলাকাবাসী বার বার সতর্ক করে আসছেন। এসবের মধ্যে ছোট বড় গাছ কেটে ফেলার ঘটনা কোনো সচেতন মহল মেনে নেবেনা। উল্লেখ্য যে, গত ১৭ সালে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উপজেলার রাস্তাঘাটে এক ঘন্টায় প্রায় পাঁচ লাখ চারা গাছ রোপন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। এর আগেও তার উদ্যোগে লঅগানো হয়েছে আরো হাজার হাজার চারা বিভিন্ন গ্রামে।
তিনি স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সবসময় আহ্বান জানিয়ে আসছেন রাউজানের গাছ গুলোর সুরক্ষায় নজরদারী করতে। বিনাজুরীতে এভাবে গাছ কাটার বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন রাস্তাঘাটের গাছ কাটা অন্যায়। এব্যাপারে সকলকে আগেই সতর্ক করা আছে। ঘটনাস্থলে গেছেন বনবিভাগের কর্মকর্তা। তার কাছে রির্পোট নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Add comment