জানা যায়, করোনা সংকট শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই রাউজানে ব্যাপক হারে সকল মনুষের মাঝে তাঁরা ত্রাণ বিতরণ করেন। শুরু থেকে করোন মোকাবেলায় মানুষের পাশে ছিলেন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী।
এছাড়াও চট্টগ্রামে জরপি করলে সবচেয়ে বেশি মানুষের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন সাংসদ। তিনি নিজের এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন, এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলে ছিলেন আমি যতদিন আছি আপনাদের সেবায় নিয়জিত রইবো।
রাউজান উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ত্রাণ তহবিল গঠন করে ৬৫ হাজার মানুষের কাছে নিজে গিয়ে ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া সহ নিজের মাসিক সম্মানীর ১৫ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেছেন তিরি।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনা সংকটের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে সাংসদকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক জনপ্রতিনিধিরা যখন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, ত্রাণ বিতরণে অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে যেখানে অসংখ্য অভিযোগ উঠছে, সেখানে সাংসদ ফজলে করিমের এমন কর্মকাণ্ড মানবিক এক দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, সাংসদ ফজলে করিমের উপসর্গ থাকায় করোনা টেস্টের জন্য সার্বিক প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। দ্রুত তার নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
করোনা উপসর্গ ও আইসোলেশনে থাকার ব্যাপারে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আমার বাবা সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। ত্রাণ বিতরণ সহ করোনার বিভিন্ন কার্যক্রমে তিনি সরাসরি মাঠে থেকে কাজ করেছেন। বাবার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ভালো আছেন। করোনার উপসর্গের মিল থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহের ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। আমরা সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।
Add comment